"চাঁদপুর জেলায় ১২ ঘণ্টায় এক নজরে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার করুণ কাহিনী"

চাঁদপুর জেলায় এক দিনে বিভিন্ন দুর্ঘটনা, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসব মর্মান্তিক ঘটনা সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ঘটে। এক দিনে এতো মৃত্যুতে জেলায় আতঙ্ক ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

সোমবার সকালে ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের মদনেরগাঁও গ্রামের চৌধুরী বাড়ির পুকুর থেকে সুফিয়া বেগম নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিঃসন্তান সুফিয়া গত ১৫ ডিসেম্বর নিখোঁজ হন। পরিবারের খোঁজাখুঁজি ও মাইকিংয়ের পরও তার সন্ধান মেলেনি। পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

একই দিনে দুপুরে চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ডাকাত দল একটি মালবাহী জাহাজে হামলা চালিয়ে ৭ জনকে কুপিয়ে হত্যা করে। গুরুতর আহত অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। নিহতরা নড়াইল জেলার বাসিন্দা। চাঁদপুর নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান জানান, জাহাজে অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। এ ঘটনার পেছনে ডাকাতি, শত্রুতা বা অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

সোমবার বিকেলে শাহরাস্তি উপজেলার সূচিপাড়া উত্তর ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় মেহেদী হাসান (১৪) নামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। তাকে বাঁচাতে গিয়ে দুই বন্ধু আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

সোমবার রাত ৮টার দিকে হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা বাজারে বোগদাদ বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী আহমেদ জুলহাস খাঁন (২৩) নিহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সোমবার রাতে ঢাকা থেকে চাঁদপুর আসার পথে জৈনপুর পরিবহনের একটি দুর্ঘটনায় আরও একজন নিহত হন। তার পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

এক দিনে একাধিক ঘটনায় প্রাণহানির পর জেলার বাসিন্দারা আতঙ্কিত। চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখছে।